গ্রাম পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত পুলিশ বাহিনী যারা গ্রামাঞ্চলে সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।[১]
মধ্যযুগীয় সময়ে বাংলার গ্রামাঞ্চলের গ্রামগুলি চৌকিদারদের দ্বারা পাহারা দেওয়া হত যারা গ্রাম পুলিশ বাহিনী হিসাবে কাজ করতো। ১৮৮০-এর দশকে এই অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে এবং ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক ১৮৯২ সালের আইন ১ এর মাধ্যমে চৌকিদারি আইন ১৮৭০ সংশোধন করা হয়।[২]
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকারের অংশ ৪,৫৬২ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে গ্রাম পুলিশ বাহিনী বাহিনীর ১০ জন কর্মী রয়েছেন।[৩][৪][৫]
২০০৮ সালে, বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছিল যে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মর্যাদা দেওয়া হবে।[৬] ২০০৯ সালে বাহিনী সদস্যরা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মজুরি প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ করে।[৭] ২০১৭ সালের মধ্যেও, তাদের বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাহিনীর ৪৭ জন সদস্যের ব্যক্তিগত আবেদনের পরে; বাংলাদেশ হাইকোর্ট একটি রায় জারি করে সরকারকে ব্যাখ্যা করতে বলে যে কেন তাদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।[৮]
২৮ শে জুন ২০১৮, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস