দৃষ্টি আকর্ষণ- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা:
সিটিকর্পোরেশন, জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ -সবগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। এদেশের জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ গ্রামে বসবাস করে। তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের সেবা মূলক কার্যক্রম পৌছানো হয় স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে। প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠান কখনও ইউনিয়ন কমিটি, পঞ্চায়েত,ইউনিয়ন বোর্ড ,ত্রান কমিটি, ইউনিয়ন কাউন্সিল, কখনও নাম করণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ নামে।বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ নামে সমধিক পরিচিত।সরকার সময়ে সময়ে আইন ও অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে কর্মপরিধি নির্ধারণ করে দেন।এতে সহায়তা প্রদান করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞগন,সরকারের নীতি ,কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তাকারী উচ্চ পদস্থ সরকারী আমলাগন। এ প্রতিষ্ঠানে জন প্রতিনিধি হিসেবে আছেন একজন চেয়ারম্যান, তিন জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য, ৯ টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাচিত পুরুষ সদস্যসহ মোট ১৩ জন।পাশা-পাশি কর্মচারী হিসেবে আছেন ১ জন সচিব, ১ জন দফাদার,৯ জন মহল্লাদার। ট্যাক্স আদায়কারী হিসেবে একাধিক লোক কোন কোন ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত থাকে।তবে তা খুব কম সংখ্যক ইউনিয়নে বিদ্যমান। এছাড়া রয়েছে ০২ জন উদ্যোক্তা। যাদের মধ্যে ১জন নারী ও অন্য জন পুরুষ।যারা নবগঠিত ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে জনগনকে ডিজিটাল সেবাপ্রদান করবে এবং যার নব্য নাম ডিজিটাল সেন্টার ।
জনগুরুত্বপূর্ণ যে সেবা গুলো ইউনিয়ন পরিষদ হতে প্রদান করা হয়-
১। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সনদ প্রদান,
২। বিভিন্ন প্রকার প্রত্যয়ন পত্র ও পরিচয় পত্র প্রদান,
৩। ওয়ারিশান সনদ,
৪। গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা,
৫। ভিজিডি উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণ,
৬। ভিজিএফ উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণ,
৭। জিি,আর বিতরণ,
৮। বিভিন্ন সময়ে সরকার প্রদেয় বিভিন্ন প্রকার ত্রান সামগ্রি বিতরণ,
৯। বিভিন্ন প্রকার ভাতার উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন(বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা,
মাতৃত্বকালীন ভাতা)
১০। সরকারের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও আইডি কার্ড তৈরিতে সহায়তা প্রদান,
১১। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর উপকারভোগীর তালিকা প্রনয়ন, কার্যক্রম পরিচালনা,
১২। উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা , যেমন-
ক) টিি আর কর্মসূচীর অধীন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন,
খ) কাবিখা কর্মসূচীর অধীন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন,
গ) কাবিটা কর্মসূচীর অধীন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন,
ঘ) এলজিএসপি-২ প্রকল্প কর্মসূচীর অধীন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন,
ঙ) এডিপি কর্মসূচীর অধীন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন,
এছাড়া ও বিবিধ উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
১৩। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা,শিক্ষা, স্বাস্থ্য , পরিবেশ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন ও ভর্তুকি প্রদানে সহায়তা প্রদান,
১৪। জন সচেতনতা গড়ে তোলা, পরিবার পরিকল্পনা প্রণয়নে স্বাস্থ্যকর্মীগণকে সহায়তা প্রদান,
১৫। সচেতনতা মূলক সভা , সেমিনার, রেলি ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা,
১৭। ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমপৃক্ত সরকারের বিভিন্ন অফিস, দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা,
১৮। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, যৌথুক নিরোধে সহায়তা প্রদান,
ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি
সরকারের এ সেবাগুলো প্রদানে একজন জন প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যান রাত-দিন পরিশ্রম করেন। কিন্তু তাদের সম্মানি ভাতা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মাত্র ৩৫০০/- টাকা। সরকারী অংশ ১৫৭৫/- এবং ইউপি অংশ ১৯২৫/- টাকা। সদস্যগনের সরকারী অংশ ৯৫০/- ও ইউপি অংশ ১০৫০/- সর্বমোট ২০০০/- টাকা। আমি দেখেছি একজন চেয়ারম্যান তার এ সম্মানির কথা বলতে কতটা লজ্জাবোধ করেন।
প্রশ্ন আসে এবং উত্তর হয় শুনি তারা জন প্রতিনিধি । তাই তাদের এটা সম্মানি।
জন প্রতিনিধি কি শুধু ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণই? সিটিকর্পোরেশন, জেলা পরিষদ প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র- কাউন্সিলরগণ জনপ্রতিনিধি নয় কি?
তাদের সম্মানি কত প্রদান করা হয়?
৩য় শ্রেণির পৌরসভার একজন কাউন্সিলর(সদস্য) এর সম্মানি শুনেছি ৫০০০/- টাকা।
মাননীয় এমপি ও মন্ত্রীমহোদয়গন আপনারা কি জনপ্রতিনিধি নন? আপনাদের সম্মানির পরিমাণ কত?আপনাদের সম্মানি কে নির্ধারণ করেছে? নিশ্চয়ই ইউপি চেয়ারম্যান ,মেম্বারগণ নন। আপনারা আপনাদের সুবিধামত সম্মানি নির্ধারণ করেছেন অথবা করিয়েছেন। কারণ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আপনারা আছেন অথবা প্রভু ভক্ত মহাসুবিধাভোগী উচ্চ পদস্থ আমলা মহোদয়গন।
দফাদার ও মহল্লাদার ভাই গণের কথা কি বলব।
তাদের মুখের দিকে তাকালে মনে বড় কষ্ট হয় -এরা গরিবের ঘরের গরিব। দ:খ এদের জীবন গাথা। অভাব তাদের নিত্য সংগী। সবচেয়ে প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানের প্রাচীনতম পদ। তারা আজ পর্যন্ত কোন শ্রেণীর কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। সরকার আসে -সরকার যায়।কিন্ত তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
দফাদার পায় সরকারী অংশ ১৩০০/- ও ইউপি অংশ ৮০০/- সর্বমোট ২১০০/- টাকা।
মহল্লাদার পায় সরকারী অংশ ১১০০/- ও ইউপি অংশ ৮০০/- সর্বমোট ১৯০০/- টাকা।
বা: কি চমৎকার বেতন ! তাও আবার মাস শেষে পাওয়ার নিশ্চয়তা তো নে-ই উপরন্ত ঈদ পার্বনে ও মাঝে মাঝে পায় না। দুই মাস তিন মাস পর পর এ বেতন তাদের ভাগ্যে জোটে। চাকরী শেষে পেনশন নাই,প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই, গ্র্যাচুইটি রয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই।
এ বার আসি আমার পদের কথা নিয়ে। ভুল বেয়াদবী হলে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন। এ ভার্চুয়াল জগতে নতুন প্রবেশ। নিয়ম কানুন জানিনা। মনের করিডোরে অনেক দিন যাবৎ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে । বলবার ,লিখবার সাহস হয় না। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তাই আজ লিখতে বাধ্য হলাম আমাদের সম্মানিত মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে ইউপি সচিবদের প্রাণের সংগঠন বাপসার নের্তৃবৃন্দ সাক্ষাৎ পর্বে তাঁর একটা উক্তির জন্য।
আমি মানুষ। আমি বাঙ্গালী। আমি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক।আমি আমার দেশের স্বাধীনাতায় বিশ্বাস করি। আমি ৭১-এর ঘাতক হায়েনাদের বিচারে বিশ্বাসী ও আস্থাশীল। কিন্তু দু:খ হয়-সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করণের নমুনা দেখে।
উপরে বর্ণিত সেবাসমূহ প্রদানে ইউপি চেয়াম্যান যেমন দায়বদ্ধ ঠিক তেমনি সরকারের জাতীয় বেতনস্কেল ভুক্ত আধা কর্মচারী অাধা কর্মকর্তা হিসেবে দাপ্তরিক সেবা ইউপি সচিবকেই প্রদান করতে হয়- সেই ১৯৫৯ খ্রি: হতে।
আমার পরিচয় কি? আমি একজন ইউপি সচিব। আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় - আপনি কি সরকারী কর্মচারী ? উত্তর -না। তাহলে বেসরকারী? উত্তর-না। তাহলে আমার প্রকৃত উত্তর কি হবে? আমাদের সম্মানিত ডিডিএলজি মহোদয়ের মুখে একদিন শুনে ছিলাম- আমরা ইউপি সচিব এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি।ব্যস এটুকুই। কিন্তু এ উত্তর আমার মন ভরাতে পারেনি। সঠিক উত্তর এটা হতে পারে না।
যদি এটা উত্তর হয়-তাহলে তিনি ও স্থানীয় সরকার শাখায় চাকরী করেন। তাঁর বেতন-ভাতা যদি সরকার সবটুকু দেয় সমস্ত সুযোগ সুবিধা সহ-তাহলে আমাকে কেন নয়?
উপজেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সেখানে ডজন ডজন লোক সরকারী সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে -আমি কেন নয়?
আমার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জেলার সবচেয়ে বড় সরকারী আমলা জেলা প্রশাসক। তিনি পাবেন -আমি কেন নয়?
আমার স্কেলের বেতন ভাতার ৭৫% সরকারী অনুদান। বাকী ২৫% ইউপি অংশ। আসলে কি ২৫% ইউপি অংশের টাকা। অন্তত আমি এতে একমত না। আপনারা হবেন কি না জানিনা। ইউপি অংশের টাকাটাও সরকারী রাজস্ব খাতের টাকা হতে নির্বাহ করা হয়। পাঠক ইদানিং আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন আমাদের স্বার্থবিরোধী কিছু পরিপত্র জারী হয়েছে। সেখানে চিত্তবিনোদন ভাতা ,লামগ্রেন্ড সম্পূর্ণ রুপে ইউপি হতে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কেন এরকম পরিপত্র জারি হল? আমাদেরকে নিয়া কেন এত প্রহসন করা হচ্ছে? যেখানে বেতন-ভাতার ৭৫% সরকারী কোষাগার হতে প্রদান করা হচ্ছে-সেখানে ঐ ভাতা ও আমরা এ হারে পাওয়ার কথা। তাও আবার পরিপত্র জারি করেই তাদের দায়িত্ব শেষ। এ সব পরিপত্র মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা কর্তা বাবুরা দেখে না। কে বাস্তবায়ন করবে, কি ভাবে করবে তা সুস্পষ্ট করে লিখে না। আমাদের জন্য তাদের কত দরদ, চাকুরীবিধি করেছেন। সচিব নিয়োগের কথা বলা হয়েছে - ইউপিকে । আবার তা সংশোধিত করা হয়েছে। পূর্বের ন্যায় জেলা প্রশাসকেই এ নিয়োগ দিবেন। হায়রে বিধি প্রনেতারা কি সুন্দর বিধি আমাদের উপহার দিয়েছেন। আপনাদের জ্ঞান পাপী মাথার এ কৌশল আর কেউ না বুঝলে ও আমরা বুঝি। এ চাকুরিবিধি একবার পড়লেই বোঝা যায় আমাদের জন্য কত দরদ । দু:খ আমরা রাখব কোথায় , কার কাছে বলব, কে শুনবে? শুনেন পরিপত্র জারি ওয়ালার আমরা আপনাদের মতলব বুঝি। এভাবে একটা জাতীকে দাবীয়ে রাখতে পারবেন না। যেমন পারেনি লুটেরা পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি। যেদিন আমরা রুকে দাড়াবো সেদিন এ ক্ষোভের বহি:প্রকাশ দেখতে পারবেন।
এখানে সুকৌশলে ইউপি সচিবকে তার ন্যায্য প্রাপ্য হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ২৫% ইউপি অংশের টাকা হাট-বাজার ইজারা খাতের টাকা। হাট-বাজার ইজারা প্রদান করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে।যদি হাট-বাজার ইজারা প্রদান হতে ইউপি সচিবদের বেতন-ভাতা সংকুলান না হয় -তাহলে ভুমি হস্তান্তর করের ১% হতে উক্ত ব্যয় নির্বাহের কথা বলা আছে। এটাকা ও সরকারী ভাবে আদায় করে ইউপিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রদান করা হয়- বেতন ভাতার টাকা পরিশোধান্তে।সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় , জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ের চাহিদা পত্র মোতাবেক ইউপি সচিবদের বেতন-ভাতার ২৫%অংশ প্রেরণের পর সরকারী অংশ ও ইউপি অংশের টাকা একসাথে শতভাগ প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা হতে।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় একটু খেয়াল করে দেখুন এ বেতন ভাতা প্রদানে ঘোরানো পেছানো হয়নি কি?
অথচ ২৫% টাকা সরকার নিয়ে আমাদের শতভাগ বেতন-ভাতা অনায়াশেই দিতে পারেন। এর জন্য সরকারের অতিরিক্ত কোন অর্থের প্রয়োজন পড়বে না। শুধু মাত্র একটা পরিপত্র জারি করলেই হয়। ২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত সরকারের লাগবে বলে মনে হয়না অন্তত আমার তাই মনে হয়।
ফিরে আসি আমার পদোন্নতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে। ইউপি সচিবের চাকুরীতে প্রবেশের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক। ১৯৯০ খ্রি: সনের পর হতে এ যোগ্যতা নিয়ে সচিবরা চাকুরীতে প্রবেশ করছে। আমাদের পদের কোন পদোন্নতি নেই। নেই উন্নত গ্রেড। জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪ তম গ্রেডে আমাদের প্রারম্ভিক বেতন। দক্ষতা ও কাজের কোন মূল্যায়ন নেই।নেই কোন প্রেষণা। সার্বক্ষণিক মানসিক কর্মঅসন্তোষ্টি বিদ্যমান।আমার মাস শেষে বেতনের নিশ্চয়তা নেই। চাকুরী শেষে পেনশন নেই। প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই। একই যোগ্যতা নিয়ে ৩য় শ্রেণীর পৌরসভার সচিব বেতন-ভাতা পায় ১১ তম গ্রেডে। আমাকে কাজ করতে দেবেন -অথচ খেতে দেবেন না। এটা কি বৈষম্য মূলক আচরণ নয়? এ সুযোগ সুবিধা কে তৈরি করে দেবে-মালিক না শ্রমিক। যদি মালিক হয় তাহলে এর দায় আপনি মহোদয় এড়াতে পারেন না। আমাদের বেতন-ভাতা না দিতে পারলে প্রতিষ্ঠান থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে স্থানীয় সরকারের এ সর্বনিম্ন প্রতিষ্ঠানটি কার ? যদি সরকারের হয় -তাহলে রক্ষার দায়িত্ব ও সরকারের। সরকারের মহতি সেবাগুলো পৌছে দেয় এ প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিধি এখন অনেক ব্যপৃত ও বিস্তৃত।অথচ আজো সে ভাবে এখানে পদ সৃস্টি করা হয়নি। ২০০৯ সনের ইউনিয়ন পরিষদ আইনে ০১টি নতুন পদের সৃজন করা হয়েছে। অদ্যাবধি নিয়োগের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকারের আয়ের খাত সংকোচন করা হয়েছে।
এটা কি স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করণ?( ! ) ঘর করবেন, মেহমান দাওয়াত করবেন-অথচ ঘরে অতিথি আপ্যায়নের লোক রাখবেন না - রাখলেও পর্যাপ্ত রাখবেন না।অাপ্যায়নে ত্রুটি হলে আবার দোষ দিবেন ।আমরা ইউপি সচিবগন সম্মান নিয়ে মর্যাদা নিয়ে চাকুরী করতে চাই। দয়া করে সে সুযোগ দিন। আমরা ও দেশের উন্নয়নে সরকারের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় শরিক হয়ে চলছি এবং আরো বেশি শরিক হতে চাই। ৪৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও তার পরিবার তীর্থের কাকের মত সুদিনের অপেক্ষায় আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদেরকে ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত করবেন না-প্লিজ প্লিজ। আইন মানুষের জন্য-মানুষ আইনের জন্য নয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস